কিয়ামতের দিন যারা মহান আল্লাহ্র আরশের ছায়ায় স্থান পাবেন এবং সেইসাথে রাসুল (সাঃ)-এর সুপারিশ লাভ করবেন সেবিষয়ক সবগুলো সহিহ হাদিস একত্রে দেওয়া হলো, অবশ্যই পরকালের মুক্তির জন্য আমল করবেন এবং অন্যদেরকেও জানাবেন >>>
[প্রত্যেকেই share করে অন্যদেরকে জানিয়ে দিবেন যেহেতু আপনার থেকে জেনে নিয়ে কেউ আমল করলে আপনি আমল করার সমপরিমাণ সওয়াব পেয়ে যাবেন।(মুসলিম)]
--- কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ যাদেরকে তাঁর আরশের ছায়ায় ছায়া দান করবেন – ১
১- “আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন “যে ব্যাক্তি কোন অভাবী (ধার গ্রহীতা)-কে সময় দিবে অথবা অব্যাহতি দিবে, আল্লাহ্ তাকে কিয়ামতের দিন তাঁর আরশের ছায়ায় ছায়া দান করবেন। যেদিন তাঁর ছায়া ব্যাতিত কোন ছায়া থাকবে না”। (সহিহ তীরমিযী)
--- কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ যাদেরকে তাঁর আরশের ছায়ায় ছায়া দান করবেন – ২
২- “মুহাম্মদ ইবন বাশশার (র), আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত , নবী (সাঃ) বলেন, যে দিন আল্লাহ্র (রহমতের) ছায়া ব্যতিত আর কোন ছায়া থাকবে না, সেদিন সাত ব্যাক্তিকে আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর নিজের (আরশের) ছায়ায় আশ্রয় দিবেন ।
1. ন্যায়পরায়ণ শাসক ।
2. সেই যুবক যার জীবন গড়ে উঠেছে তার রবের ইবাদাতের মধ্যে ।
3. সে ব্যাক্তি যার কলব মসজিদের সাথে লাগা রয়েছে ।
4. সে দু ব্যাক্তি যারা পরস্পরকে ভালোবাসে আল্লাহ্র ওয়াস্তে , একত্র হয় আল্লাহ্র জন্য এবং পৃথকও হয় আল্লাহ্র জন্য ।
5. সে ব্যাক্তি যাকে কোন উচ্চ বংশীয় রূপসী নারী আহবান জানায়, কিন্তু সে এ বলে তা প্রত্যাখ্যান করে যে ‘আমি আল্লাহ্ কে ভয় করি’ ।
6. সে ব্যাক্তি যে এমন গোপনে দান করে যে তার ডান হাত যা খরচ করে বাম হাত তা জানেনা
7.সে ব্যাক্তি যে নির্জনে আল্লাহর যিকির করে ফলে তার দুচোখ দিয়ে অশ্রু প্রবাহিত হয়”।(সহীহুল বুখারী)
--- কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ যাদেরকে বিশেষ ছায়ায় রাখবেন – ৩
৩- “উকবা ইবনে আমের থেকে বর্ণিত, তিনি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছেন “কিয়ামতের দিন মানুষের মাঝে ফয়সালা করা পর্যন্ত প্রত্যেক দানবীর তার দান-খয়রাতের ছায়ার নিচে অবস্থান করবে”।
এ হাদিস শ্রবণ করে আবু মারসাদ কোন দিন ভুলেও কিছু না কিছু সদকা করতে ছাড়তেন না। হয় কেক না হয় পিয়াজ (ছোট কিছুও) তিনি দান করতেন।(সহীহ তারগিব)
আল্লাহ্র দেওয়া সম্পদ আল্লাহ্র পথে ব্যয় করতে আমাদের মধ্যে কার্পণ্য আসা কখনো উচিত নয় তাছাড়া দানে সম্পদ কমে না বরং আল্লাহ সম্পদ আরও বারিয়ে দেন। আপনারা ২ ভাবে দান করতে পারেন, ১- আপনি যে চাকরি বা বেবসা বা সৎপথে যেভাবেই উপার্জন করেন তার একটা নির্দিষ্ট persent দানের জন্য নির্ধারিত করুন হতে পারে আয়ের ৫% বা ১০% বা ২০% ইত্যাদি
২- অথবা প্রতিদিন কিছু টাঁকা আলাদা করে একটা জায়গায় জমা রাখুন, যখন অনেক টাঁকা হয়ে যাবে তখন সেটা গরিবদুঃখী, মিসকিন, অসহায় বিধবা মহিলা, অনাথ এতিম বা মসজিদে বা মাদ্রাসায় দান করুন এতে আপনি প্রতিদিনের দান করার সওয়াব পাবেন এবং অন্যরাও উপকৃত হবে। অবশ্য জমানো টাঁকা আবার নিজে খরচ করে ফেলবেন না যেহেতু আপনি আল্লাহ্র পথে দান করার নিয়তে এই টাঁকা জমিয়েছেন।
--- কিয়ামতের দিন যারা অবশ্যই রাসুল (সাঃ)-এর সুপারিশ লাভ করবে – ১
১- “রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যে কেউ সকাল বেলা আমার উপর ১০ বার দরুদ পাঠ করবে এবং বিকেল বেলা ১০ বার দরুদ পাঠ করবে, সে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন আমার সুপারিশ দ্বারা সৌভাগ্যবান হবে”। (তাবরানী, সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব)
দরুদে ইব্রাহীম অর্থাৎ নামাজের মধ্যে যে দরুদ পড়া হয়(আল্লা-হুম্মা সল্লি আলা মুহাম্মাদ--) এই দরুদ পাঠ করা সবচেয়ে উত্তম তবে নিম্নোক্ত ভাবে পড়লেও হবে-
اللَّهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ عَلَى نَبَيِّنَا مُحَمَّدٍ) .(আল্লা-হুম্মা সল্লি ওয়াসাল্লিম ‘আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ
হে আল্লাহ! আপনি রহমত ও শান্তি বর্ষণ করুন আমাদের নবী মুহাম্মাদের উপর।
--- কিয়ামতের দিন যারা অবশ্যই রাসুল (সাঃ)-এর সুপারিশ লাভ করবে – ২
২- আযানের সময় মুয়াযযিন যা যা বলে কোন ব্যক্তি যদি তাই বলে অর্থাৎ আযানের শব্দ গুলো বলে এবং তারপর রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) উপর দরূদ পড়ে এবং দরুদ পড়া শেষে নিম্নের দোয়া বলে -
اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ، وَالصَّلاَةِ الْقَائِمَةِ، آتِ مُحَمَّداً الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ، وَابْعَثْهُ مَقَامَاً مَحمُوداً الَّذِي وَعَدْتَهُ،
(আল্লা-হুম্মা রববা হা-যিহিদ্ দা‘ওয়াতিত্ তা-ম্মাতি ওয়াস সালা-তিল ক্বা-’ইমাতি আ-তি মুহাম্মাদানিল ওয়াসীলাতা ওয়াল ফাদীলাতা ওয়াব্‘আছহু মাক্বা-মাম মাহমূদানিল্লাযী ওয়া‘আদতাহ)।
“হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহ্বান এবং প্রতিষ্ঠিত সালাতের রব্ব! মুহাম্মাদ (সাঃ) কে ওসীলা তথা জান্নাতের একটি স্তর এবং ফযীলত তথা সকল সৃষ্টির উপর অতিরিক্ত মর্যাদা দান করুন। আর তাঁকে মাকামে মাহমূদে (প্রশংসিত স্থানে) পৌঁছে দিন, যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাঁকে দিয়েছেন। ”
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন : যে ব্যক্তি এ কাজ করবে, তার জন্য আমার সুপারিশ ওয়াজিব হয়ে যাবে। (মুসলিম) [এখানে কাজ ৩টি, ১- আযানের শব্দ গুলো বলা তারপর ২- রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) উপর দরূদ পড়া (দরুদে ইব্রাহীম অর্থাৎ নামাজের বৈঠকে যে দরুদ পড়া হয়) তারপর ৩- আযানের দোয়াটা বলা]
বুখারির হাদিসে রয়েছে শুধু ৩ নম্বরটা অর্থাৎ আজান শেষে আযানের দোয়াটা বললেই রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সুপারিশ ওয়াজিব হয়ে যাবে।
--- কিয়ামতের দিন যারা অবশ্যই রাসুল (সাঃ)-এর সুপারিশ লাভ করবে – ৩
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, কিয়ামতের দিন আমার শাফা”আত পাওয়ার ব্যাপারে সবচেয়ে সৌভাগ্যবান হবে ঐ ব্যক্তি যে অন্তর থেকে ইখলাসের সাথে ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ স্বীকার করে। (সহিহুল বুখারি)
<<< একটা বিষয় লক্ষণীয় যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এমন সর্ত দেননি যে, তোমরা আমাকে সন্তুষ্ট করো আমি তোমাদের সুপারিশ করবো বরং তিনি সর্ত দিয়েছেন তাওহীদের অথচ বর্তমানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, মানুষ সুপারিশ লাভের আশায় পীর পুজা, মাজার পুজা, কবর পুজা শুরু করেছে যা তাওহীদের সম্পূর্ণ বিপরীত
[প্রত্যেকেই share করে অন্যদেরকে জানিয়ে দিবেন যেহেতু আপনার থেকে জেনে নিয়ে কেউ আমল করলে আপনি আমল করার সমপরিমাণ সওয়াব পেয়ে যাবেন।(মুসলিম)]
--- কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ যাদেরকে তাঁর আরশের ছায়ায় ছায়া দান করবেন – ১
১- “আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন “যে ব্যাক্তি কোন অভাবী (ধার গ্রহীতা)-কে সময় দিবে অথবা অব্যাহতি দিবে, আল্লাহ্ তাকে কিয়ামতের দিন তাঁর আরশের ছায়ায় ছায়া দান করবেন। যেদিন তাঁর ছায়া ব্যাতিত কোন ছায়া থাকবে না”। (সহিহ তীরমিযী)
--- কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ যাদেরকে তাঁর আরশের ছায়ায় ছায়া দান করবেন – ২
২- “মুহাম্মদ ইবন বাশশার (র), আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত , নবী (সাঃ) বলেন, যে দিন আল্লাহ্র (রহমতের) ছায়া ব্যতিত আর কোন ছায়া থাকবে না, সেদিন সাত ব্যাক্তিকে আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর নিজের (আরশের) ছায়ায় আশ্রয় দিবেন ।
1. ন্যায়পরায়ণ শাসক ।
2. সেই যুবক যার জীবন গড়ে উঠেছে তার রবের ইবাদাতের মধ্যে ।
3. সে ব্যাক্তি যার কলব মসজিদের সাথে লাগা রয়েছে ।
4. সে দু ব্যাক্তি যারা পরস্পরকে ভালোবাসে আল্লাহ্র ওয়াস্তে , একত্র হয় আল্লাহ্র জন্য এবং পৃথকও হয় আল্লাহ্র জন্য ।
5. সে ব্যাক্তি যাকে কোন উচ্চ বংশীয় রূপসী নারী আহবান জানায়, কিন্তু সে এ বলে তা প্রত্যাখ্যান করে যে ‘আমি আল্লাহ্ কে ভয় করি’ ।
6. সে ব্যাক্তি যে এমন গোপনে দান করে যে তার ডান হাত যা খরচ করে বাম হাত তা জানেনা
7.সে ব্যাক্তি যে নির্জনে আল্লাহর যিকির করে ফলে তার দুচোখ দিয়ে অশ্রু প্রবাহিত হয়”।(সহীহুল বুখারী)
--- কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ যাদেরকে বিশেষ ছায়ায় রাখবেন – ৩
৩- “উকবা ইবনে আমের থেকে বর্ণিত, তিনি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছেন “কিয়ামতের দিন মানুষের মাঝে ফয়সালা করা পর্যন্ত প্রত্যেক দানবীর তার দান-খয়রাতের ছায়ার নিচে অবস্থান করবে”।
এ হাদিস শ্রবণ করে আবু মারসাদ কোন দিন ভুলেও কিছু না কিছু সদকা করতে ছাড়তেন না। হয় কেক না হয় পিয়াজ (ছোট কিছুও) তিনি দান করতেন।(সহীহ তারগিব)
আল্লাহ্র দেওয়া সম্পদ আল্লাহ্র পথে ব্যয় করতে আমাদের মধ্যে কার্পণ্য আসা কখনো উচিত নয় তাছাড়া দানে সম্পদ কমে না বরং আল্লাহ সম্পদ আরও বারিয়ে দেন। আপনারা ২ ভাবে দান করতে পারেন, ১- আপনি যে চাকরি বা বেবসা বা সৎপথে যেভাবেই উপার্জন করেন তার একটা নির্দিষ্ট persent দানের জন্য নির্ধারিত করুন হতে পারে আয়ের ৫% বা ১০% বা ২০% ইত্যাদি
২- অথবা প্রতিদিন কিছু টাঁকা আলাদা করে একটা জায়গায় জমা রাখুন, যখন অনেক টাঁকা হয়ে যাবে তখন সেটা গরিবদুঃখী, মিসকিন, অসহায় বিধবা মহিলা, অনাথ এতিম বা মসজিদে বা মাদ্রাসায় দান করুন এতে আপনি প্রতিদিনের দান করার সওয়াব পাবেন এবং অন্যরাও উপকৃত হবে। অবশ্য জমানো টাঁকা আবার নিজে খরচ করে ফেলবেন না যেহেতু আপনি আল্লাহ্র পথে দান করার নিয়তে এই টাঁকা জমিয়েছেন।
--- কিয়ামতের দিন যারা অবশ্যই রাসুল (সাঃ)-এর সুপারিশ লাভ করবে – ১
১- “রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যে কেউ সকাল বেলা আমার উপর ১০ বার দরুদ পাঠ করবে এবং বিকেল বেলা ১০ বার দরুদ পাঠ করবে, সে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন আমার সুপারিশ দ্বারা সৌভাগ্যবান হবে”। (তাবরানী, সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব)
দরুদে ইব্রাহীম অর্থাৎ নামাজের মধ্যে যে দরুদ পড়া হয়(আল্লা-হুম্মা সল্লি আলা মুহাম্মাদ--) এই দরুদ পাঠ করা সবচেয়ে উত্তম তবে নিম্নোক্ত ভাবে পড়লেও হবে-
اللَّهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ عَلَى نَبَيِّنَا مُحَمَّدٍ) .(আল্লা-হুম্মা সল্লি ওয়াসাল্লিম ‘আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ
হে আল্লাহ! আপনি রহমত ও শান্তি বর্ষণ করুন আমাদের নবী মুহাম্মাদের উপর।
--- কিয়ামতের দিন যারা অবশ্যই রাসুল (সাঃ)-এর সুপারিশ লাভ করবে – ২
২- আযানের সময় মুয়াযযিন যা যা বলে কোন ব্যক্তি যদি তাই বলে অর্থাৎ আযানের শব্দ গুলো বলে এবং তারপর রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) উপর দরূদ পড়ে এবং দরুদ পড়া শেষে নিম্নের দোয়া বলে -
اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ، وَالصَّلاَةِ الْقَائِمَةِ، آتِ مُحَمَّداً الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ، وَابْعَثْهُ مَقَامَاً مَحمُوداً الَّذِي وَعَدْتَهُ،
(আল্লা-হুম্মা রববা হা-যিহিদ্ দা‘ওয়াতিত্ তা-ম্মাতি ওয়াস সালা-তিল ক্বা-’ইমাতি আ-তি মুহাম্মাদানিল ওয়াসীলাতা ওয়াল ফাদীলাতা ওয়াব্‘আছহু মাক্বা-মাম মাহমূদানিল্লাযী ওয়া‘আদতাহ)।
“হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহ্বান এবং প্রতিষ্ঠিত সালাতের রব্ব! মুহাম্মাদ (সাঃ) কে ওসীলা তথা জান্নাতের একটি স্তর এবং ফযীলত তথা সকল সৃষ্টির উপর অতিরিক্ত মর্যাদা দান করুন। আর তাঁকে মাকামে মাহমূদে (প্রশংসিত স্থানে) পৌঁছে দিন, যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাঁকে দিয়েছেন। ”
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন : যে ব্যক্তি এ কাজ করবে, তার জন্য আমার সুপারিশ ওয়াজিব হয়ে যাবে। (মুসলিম) [এখানে কাজ ৩টি, ১- আযানের শব্দ গুলো বলা তারপর ২- রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) উপর দরূদ পড়া (দরুদে ইব্রাহীম অর্থাৎ নামাজের বৈঠকে যে দরুদ পড়া হয়) তারপর ৩- আযানের দোয়াটা বলা]
বুখারির হাদিসে রয়েছে শুধু ৩ নম্বরটা অর্থাৎ আজান শেষে আযানের দোয়াটা বললেই রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সুপারিশ ওয়াজিব হয়ে যাবে।
--- কিয়ামতের দিন যারা অবশ্যই রাসুল (সাঃ)-এর সুপারিশ লাভ করবে – ৩
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, কিয়ামতের দিন আমার শাফা”আত পাওয়ার ব্যাপারে সবচেয়ে সৌভাগ্যবান হবে ঐ ব্যক্তি যে অন্তর থেকে ইখলাসের সাথে ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ স্বীকার করে। (সহিহুল বুখারি)
<<< একটা বিষয় লক্ষণীয় যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এমন সর্ত দেননি যে, তোমরা আমাকে সন্তুষ্ট করো আমি তোমাদের সুপারিশ করবো বরং তিনি সর্ত দিয়েছেন তাওহীদের অথচ বর্তমানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, মানুষ সুপারিশ লাভের আশায় পীর পুজা, মাজার পুজা, কবর পুজা শুরু করেছে যা তাওহীদের সম্পূর্ণ বিপরীত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন