এক ব্যক্তি পাহাড়ের উচ্চ চূড়ায় পাঁচশ বছর ধরে আল্লাহ পাকের ইবাদতে মশগুল ছিল। ঐ পাহাড়ের চারদিক লবণাক্ত পানি দ্বারা বেষ্টিত ছিল।
আল্লাহ তায়ালা তার জন্য পাহাড়ের অভ্যন্তরে সুপেয় পানির ঝর্ণা এবং একটি আনার গাছের সৃষ্টি করেন। প্রতিদিন সেই ব্যক্তি আনার ফল খেত এবং পানি পান করত। আর পানি দিয়ে অযূ করত।
আল্লাহ তায়ালা তার জন্য পাহাড়ের অভ্যন্তরে সুপেয় পানির ঝর্ণা এবং একটি আনার গাছের সৃষ্টি করেন। প্রতিদিন সেই ব্যক্তি আনার ফল খেত এবং পানি পান করত। আর পানি দিয়ে অযূ করত।
সে ব্যক্তি আল্লাহ্ তায়ালার কাছে এই দু’আ করল- হে আল্লাহ্! আমার দেহ থেকে রূহ যেন সেজদারত অবস্থায় কবয করার ব্যবস্থা করা হয়। আল্লাহ্ তায়ালা তার এই দু’আ কবুল করেন।
হযরত জিবরাঈল (আঃ)বলেন- আমি আসমানে আসা যাওয়ার সময় তাকে সেজদারত দেখতাম। কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তায়ালা তার সম্পর্কে বলবেনঃ আমার এই বান্দাকে আমার রহমতে জান্নাতে প্রবেশ করাও।
ঐ ব্যক্তি বলবে না, বরং আমার আমলের বরকতে।
তখন নির্দেশ আসবে- আমার নিয়ামতের বিপরীতে তার কৃত আমল পরিমাপ কর। পরিমাপ করে দেখা যাবে, পাঁচশ বছরের ইবাদাত খতম হয়ে গেছে একটি চোখের নিয়ামতের বিনিময়ে।
তখন আল্লাহ্ পাক নির্দেশ দিবেনঃ আমার বান্দাকে জাহান্নামে নিয়ে যাও।
তখন নির্দেশ আসবে- আমার নিয়ামতের বিপরীতে তার কৃত আমল পরিমাপ কর। পরিমাপ করে দেখা যাবে, পাঁচশ বছরের ইবাদাত খতম হয়ে গেছে একটি চোখের নিয়ামতের বিনিময়ে।
তখন আল্লাহ্ পাক নির্দেশ দিবেনঃ আমার বান্দাকে জাহান্নামে নিয়ে যাও।
ফেরেশতারা তখন তাকে নিয়ে রওয়ানা হবে। কিছুদূর যাওয়ার পর ঐ ব্যক্তি আরয করবে, হে আল্লাহ্! আমাকে তোমার রহমতে জান্নাতে প্রবেশ করাও।
নির্দেশ আসবে তাকে ফিরত নিয়ে আস। আল্লাহ্ পাকের নিকট ফিরিয়ে আনার পর তাকে নিচের প্রশ্নগুলো করা হবে আর সে বলবেঃ-
নির্দেশ আসবে তাকে ফিরত নিয়ে আস। আল্লাহ্ পাকের নিকট ফিরিয়ে আনার পর তাকে নিচের প্রশ্নগুলো করা হবে আর সে বলবেঃ-
– তোমাকে কে সৃষ্টি করেছেন?
– আল্লাহ, আপনি।
– এই কাজটা তোমার আমল না আমার রহমতের বরকতে হয়েছে?
– আপনার রহমতে।
– তোমাকে পাঁচশ বছর ইবাদাত করার শক্তি ও তাওফীক কে দিয়েছে?
– হে আল্লাহ্!আপনি।
– সমুদ্রের মাঝে পাহাড়ের উপর তোমাকে কে পৌঁছিয়েছে? লবণাক্ত পানির মাঝে সুপেয় পানির ব্যবস্থা কে করেছে?আনার গাছ কে সৃষ্টি করেছে? তোমার দরখাস্ত মুতাবেক সেজদার মাঝে কে তোমার রূহ কবয করার ব্যবস্থা করেছে?
-হে পরওয়ারদিগার! আপনি।
– আল্লাহ, আপনি।
– এই কাজটা তোমার আমল না আমার রহমতের বরকতে হয়েছে?
– আপনার রহমতে।
– তোমাকে পাঁচশ বছর ইবাদাত করার শক্তি ও তাওফীক কে দিয়েছে?
– হে আল্লাহ্!আপনি।
– সমুদ্রের মাঝে পাহাড়ের উপর তোমাকে কে পৌঁছিয়েছে? লবণাক্ত পানির মাঝে সুপেয় পানির ব্যবস্থা কে করেছে?আনার গাছ কে সৃষ্টি করেছে? তোমার দরখাস্ত মুতাবেক সেজদার মাঝে কে তোমার রূহ কবয করার ব্যবস্থা করেছে?
-হে পরওয়ারদিগার! আপনি।
তখন ইরশাদ হবেঃ এই সব কিছু আমার রহমতে হয়েছে এবং আমার রহমতেই তোমাকে জান্নাতে দাখিল করছি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন