ঢাকা: রাত নামলেই আতঙ্ক কাজ করে ভারতের গ্রামে থাকা নারীদের। কিন্তু কি আর করা, প্রাকৃতির ডাকে সাড়াতো দিতেই হবে। তাই অন্ধকারে সে কাজটি সাড়তে হয়। আর সেই অন্ধকারে ওঁৎ পেতে থাকা নরপশুরা সুযোগ বুঝে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাদের উপর। কখনো ধর্ষণ, কখনো যৌন হেনস্থা, কখনো বা প্রাণটাও হারাতে হয় অসহায় নারীদের।
আর এ বিষয়টি স্বীকারও করে নিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। ইতোমধ্যে বিষয়টি সমাধানের জন্য একটি প্রকল্পও হাতে নেয়া হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে ভারতের সংবাদ সংস্থা।
‘স্বচ্ছ ভারত মিশন’ প্রকল্পের একটি অংশে কেন্দ্রীয় পানি নিষ্কাশন অধিদপ্তর জানায়, ‘বাড়িতে টয়লেট না থাকায় যেসব নারীকে রাতের অন্ধকারে বাইরে বের হতে হয়, তাদের ক্ষেত্রে ধর্ষণ বা যৌন হেনস্থার ঝুঁকিও অনেক বেড়ে যায়।’
প্রকল্পের ওই অংশে আরো জানানো হয়, শুধু প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া নয়, ঋতুস্রাব চলার সময়, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়, কিংবা সদ্য মা হওয়ার পর টয়লেটের আড়াল খুবই প্রয়োজন। কারণ ওই সময়গুলোতে মেয়েদের বিশেষ শারীরিক ও মানসিক সমস্যা থাকে।
টয়লেটের অভাবে মেয়েদের স্কুলে না যাওয়ার প্রসঙ্গটিও রয়েছে। বয়ঃসন্ধির পর মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়ার একটা বড় কারণ টয়লেট না থাকা। প্রতিটি স্কুলে যদি ছেলেদের ও মেয়েদের জন্য আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে ছাত্রীদের একটা বড় সংখ্যা লেখাপড়া চালিয়ে যেতে উৎসাহ পাবে।
একটি পরিসংখ্যান দিয়ে বলা হয়েছে, দেশের প্রায় ৬ কোটি মানুষকে এখনো টয়লেটের জন্য বাড়ির বাইরে যেতে হয়।
বাংলামেইল২৪ডটকম/ এস
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন