আউস ইব্ন আউস সাকাফি (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে বলতে শুনেছি: “জুমার দিন যে গোসল করল, ভালো করে; অতঃপর আগেভাগে মসজিদে গেল; হেঁটে চলল, বাহনে চড়ল না; ইমামের নিকটবর্তী হল; অনর্থক কর্মে লিপ্ত না হয়ে মনোযোগসহ শ্রবণ করল; তার প্রতি কদমে লেখা হবে এক বছরের আমল তথা এক বছরের সিয়াম ও কিয়ামের(সারা রাত তাহাজ্জুদ) সওয়াব”। (তিরমিজি-৪৯৬, আবুদাউদ-৩৪৫, সহিহ আল-জামে ৬৪০৫)
যে ব্যক্তি এসব আদব রক্ষা করবে তার প্রতি কদম এক রাত অথবা এক সপ্তাহ অথবা এক মাস কিয়ামের সমান নয়, বরং পূর্ণ এক বছর কিয়াম করার সমান এবং পূর্ণ এক বছর সিয়াম পালনের (রোজা) সমান।
সর্ত মাত্র কয়েকটা দেওয়া হয়েছে- জুমার দিন গোসল করা, আগে আগে ও পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া, ইমামের নিকটবর্তী বসা, শেষের কাতারে পিছিয়ে না পড়া অর্থাৎ ইমামের যতো নিকটে বসা যায়, মনোযোগসহ খুতবা শ্রবণ করা এবং বেহুদা ও অনর্থক কর্মকাণ্ড ত্যাগ করার মধ্যে এসব আদব সীমাবদ্ধ, যা খুব সহজ ও খুব সামান্য।
জ্ঞাতব্য যে, খুতবার সময় অহেতুক নড়াচড়া করা অনর্থক কর্মের অন্তর্ভুক্ত কিংবা পরে এসে মানুষের ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনের দিকে যাওয়াও অনর্থক কর্মের অন্তর্ভুক্ত। যে অনর্থক কর্ম করল তার জুমা নেই। খুতবায় এতো মনযোগী হতে হবে যে, কেউ কথা বললেও ইশারায় চুপ করাতে হবে, মুখে কোন কথা বলা যাবে না। যে বলল, ‘চুপ থাক’, সে অনর্থক কর্ম করল: অর্থাৎ যে তার পাশের সাথী অথবা নিজের সন্তানকে বলল ‘চুপ থাক’ সে বেহুদা কর্ম করলো। খুতবার সময় যে তসবিহ অথবা মোবাইল অথবা কোন জিনিস দ্বারা খেললো, সেও অনর্থক কর্ম করল। মসজিদে খুতবা চলুক আর না চলুক, ২ রাকাত তাহিয়াতুল মসজিদের সলাত আদায় করেই বসতে হবে।
সুতরাং জুমার আদবসমূহে শিথিলতা করা ঠিক নয়, অন্যথায় আমরা এমন সব বিরাট সওয়াব থেকে বঞ্চিত হব, পরকালে যা আমাদের নেকির পাল্লা ভারী করবে ও অনেক বছরের সওয়াব প্রদান করবে। যদি কোন ব্যক্তি এই সর্তগুলো পুরন করে তবে সে যদি বাড়ি থেকে ১০০০ পা ফেলে মসজিদে যায় তবে তার জন্য ১০০০ বছর একটানা সারা রাত তাহাজ্জুদ নামাজের সওয়াব এবং ১০০০ বছর একটানা সিয়াম পালনের সওয়াব দেওয়া হবে, (সুবহানাল্লাহ), এবং কদম যতো বারতে থাকবে সওয়াবও এই একই অনুপাতে বারতে থাকবে।
সর্ত মাত্র কয়েকটা দেওয়া হয়েছে- জুমার দিন গোসল করা, আগে আগে ও পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া, ইমামের নিকটবর্তী বসা, শেষের কাতারে পিছিয়ে না পড়া অর্থাৎ ইমামের যতো নিকটে বসা যায়, মনোযোগসহ খুতবা শ্রবণ করা এবং বেহুদা ও অনর্থক কর্মকাণ্ড ত্যাগ করার মধ্যে এসব আদব সীমাবদ্ধ, যা খুব সহজ ও খুব সামান্য।
জ্ঞাতব্য যে, খুতবার সময় অহেতুক নড়াচড়া করা অনর্থক কর্মের অন্তর্ভুক্ত কিংবা পরে এসে মানুষের ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনের দিকে যাওয়াও অনর্থক কর্মের অন্তর্ভুক্ত। যে অনর্থক কর্ম করল তার জুমা নেই। খুতবায় এতো মনযোগী হতে হবে যে, কেউ কথা বললেও ইশারায় চুপ করাতে হবে, মুখে কোন কথা বলা যাবে না। যে বলল, ‘চুপ থাক’, সে অনর্থক কর্ম করল: অর্থাৎ যে তার পাশের সাথী অথবা নিজের সন্তানকে বলল ‘চুপ থাক’ সে বেহুদা কর্ম করলো। খুতবার সময় যে তসবিহ অথবা মোবাইল অথবা কোন জিনিস দ্বারা খেললো, সেও অনর্থক কর্ম করল। মসজিদে খুতবা চলুক আর না চলুক, ২ রাকাত তাহিয়াতুল মসজিদের সলাত আদায় করেই বসতে হবে।
সুতরাং জুমার আদবসমূহে শিথিলতা করা ঠিক নয়, অন্যথায় আমরা এমন সব বিরাট সওয়াব থেকে বঞ্চিত হব, পরকালে যা আমাদের নেকির পাল্লা ভারী করবে ও অনেক বছরের সওয়াব প্রদান করবে। যদি কোন ব্যক্তি এই সর্তগুলো পুরন করে তবে সে যদি বাড়ি থেকে ১০০০ পা ফেলে মসজিদে যায় তবে তার জন্য ১০০০ বছর একটানা সারা রাত তাহাজ্জুদ নামাজের সওয়াব এবং ১০০০ বছর একটানা সিয়াম পালনের সওয়াব দেওয়া হবে, (সুবহানাল্লাহ), এবং কদম যতো বারতে থাকবে সওয়াবও এই একই অনুপাতে বারতে থাকবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন