উত্তর: আগে আমাদের বুঝতে হবে নিরাপত্তা বলতে কোন্ নিরাপত্তা? মৃত্যু থেকে নিরাপদ হওয়া তো কোনো মাখলুকের পক্ষে সম্ভব না৷ কেননা আল্লাহ তাআলা বলেছেন-
أَيْنَمَا تَكُونُواْ يُدْرِككُّمُ الْمَوْتُ وَلَوْ كُنتُمْ فِي بُرُوجٍ مُّشَيَّدَةٍ الآية النساء78
"তোমরা যেখানেই থাক না কেনো, মৃত্যু কিন্তু তোমাদের পাকড়াও করবেই৷ যদি তোমরা সুদৃঢ় দুর্গের ভেতরেও অবস্থান কর, তবুও৷ (সুরা নিসা-৭৮)
এই আয়াত থেকে বুঝা গেলো মৃত্যু থেকে নিরাপদ হওয়া উদ্দেশ্য নয়৷ কেননা মৃত্যু যখন হবে, যেখানে হবে, সব আল্লাহ তাআলার ইলমে নির্ধারিত৷ আল্লাহ তাআলা বলেন-
وَلِكُلِّ أُمَّةٍ أَجَلٌ فَإِذَا جَاء أَجَلُهُمْ لاَ يَسْتَأْخِرُونَ سَاعَةً وَلاَ يَسْتَقْدِمُونَ }الأعراف34
…যখন তাদের মেয়াদ এসে যাবে, তখন তারা না এক মুহূর্ত পিছে যেতে পারবে, আর না এগিয়ে আসতে পারবে৷ (সুরা আ'রাফ-৩৪)
অন্যত্র আল্লাহ তাআলা বলেন-
وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ بِأَيِّ أَرْضٍ تَمُوتُ سورة لقمان ٣٤
(আল্লাহ তাআলা ব্যতীত) কেউ জানে না কোন্ দেশে সে মৃত্যুবরণ করবে৷ (সুরা লুকমান-৩৪)
তাহলে এই নিরাপত্তা হচ্ছে, শরীয়তের আইন হিসেবে৷ অর্থাৎ
ومن دخله كان آمنا -سورة آل عمران ٩٧
আর যে লোক এর ভেতরে (কা'বা তথা হারামে) প্রবেশ করেছে, সে নিরাপত্তা লাভ করেছে৷ (সুরা আলে-ইমরান- ৯৭)
অর্থাৎ আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে মানুষের প্রতি নির্দেশ এই যে, যে ব্যক্তি এতে প্রবেশ করে, তাকে কষ্ট দেবে না বা হত্যা করবে না৷ যদি কেউ হত্যাকাণ্ড করে অথবা অন্য কোনো অপরাধ করে এতে প্রবেশ করে, তবুও তাকে সেখানে শাস্তি দেবে না৷ বরং তাকে হারাম অভ্যন্তর থেকে বের হতে বাধ্য করবে৷ বের হওয়ার পর তার উপর শাস্তি প্রয়োগ করবে৷ এভাবেই হারামে প্রবেশকারী ব্যক্তি শরীয়তের আইন অনুযায়ী নিরাপদ হয়ে যায়৷ মূলত এই নিরাপত্তাই উদ্দেশ্য৷
সোজা অর্থে, যে আল্লাহ তাআলা মক্কা মুকাররামা এবং কা'বা অভ্যন্তরকে নিরাপত্তার চাদরে বেষ্টন করেছেন, সেই আল্লাহ তাআলার হুকুমেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে৷ মানে এখানে যে-ই প্রবেশ করবে, মানুষ থেকে নিরাপত্তা লাভ করবে৷ তবে আল্লাহ তাআলার হুকুম সব জায়গায় সমানভাবে বলবৎ থাকবে৷
আরও বিস্তর আলোচনার অবকাশ রাখে৷ তবে বুঝার জন্যে এতটুকুই যথেষ্ট৷
أَيْنَمَا تَكُونُواْ يُدْرِككُّمُ الْمَوْتُ وَلَوْ كُنتُمْ فِي بُرُوجٍ مُّشَيَّدَةٍ الآية النساء78
"তোমরা যেখানেই থাক না কেনো, মৃত্যু কিন্তু তোমাদের পাকড়াও করবেই৷ যদি তোমরা সুদৃঢ় দুর্গের ভেতরেও অবস্থান কর, তবুও৷ (সুরা নিসা-৭৮)
এই আয়াত থেকে বুঝা গেলো মৃত্যু থেকে নিরাপদ হওয়া উদ্দেশ্য নয়৷ কেননা মৃত্যু যখন হবে, যেখানে হবে, সব আল্লাহ তাআলার ইলমে নির্ধারিত৷ আল্লাহ তাআলা বলেন-
وَلِكُلِّ أُمَّةٍ أَجَلٌ فَإِذَا جَاء أَجَلُهُمْ لاَ يَسْتَأْخِرُونَ سَاعَةً وَلاَ يَسْتَقْدِمُونَ }الأعراف34
…যখন তাদের মেয়াদ এসে যাবে, তখন তারা না এক মুহূর্ত পিছে যেতে পারবে, আর না এগিয়ে আসতে পারবে৷ (সুরা আ'রাফ-৩৪)
অন্যত্র আল্লাহ তাআলা বলেন-
وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ بِأَيِّ أَرْضٍ تَمُوتُ سورة لقمان ٣٤
(আল্লাহ তাআলা ব্যতীত) কেউ জানে না কোন্ দেশে সে মৃত্যুবরণ করবে৷ (সুরা লুকমান-৩৪)
তাহলে এই নিরাপত্তা হচ্ছে, শরীয়তের আইন হিসেবে৷ অর্থাৎ
ومن دخله كان آمنا -سورة آل عمران ٩٧
আর যে লোক এর ভেতরে (কা'বা তথা হারামে) প্রবেশ করেছে, সে নিরাপত্তা লাভ করেছে৷ (সুরা আলে-ইমরান- ৯৭)
অর্থাৎ আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে মানুষের প্রতি নির্দেশ এই যে, যে ব্যক্তি এতে প্রবেশ করে, তাকে কষ্ট দেবে না বা হত্যা করবে না৷ যদি কেউ হত্যাকাণ্ড করে অথবা অন্য কোনো অপরাধ করে এতে প্রবেশ করে, তবুও তাকে সেখানে শাস্তি দেবে না৷ বরং তাকে হারাম অভ্যন্তর থেকে বের হতে বাধ্য করবে৷ বের হওয়ার পর তার উপর শাস্তি প্রয়োগ করবে৷ এভাবেই হারামে প্রবেশকারী ব্যক্তি শরীয়তের আইন অনুযায়ী নিরাপদ হয়ে যায়৷ মূলত এই নিরাপত্তাই উদ্দেশ্য৷
সোজা অর্থে, যে আল্লাহ তাআলা মক্কা মুকাররামা এবং কা'বা অভ্যন্তরকে নিরাপত্তার চাদরে বেষ্টন করেছেন, সেই আল্লাহ তাআলার হুকুমেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে৷ মানে এখানে যে-ই প্রবেশ করবে, মানুষ থেকে নিরাপত্তা লাভ করবে৷ তবে আল্লাহ তাআলার হুকুম সব জায়গায় সমানভাবে বলবৎ থাকবে৷
আরও বিস্তর আলোচনার অবকাশ রাখে৷ তবে বুঝার জন্যে এতটুকুই যথেষ্ট৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন