বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৫

আশুরার ফজিলত ও জাল হাদীসের ছড়াছড়ি :

সামনে আসছে সম্মানিত মাস "মুহাররম" আর এ মাসের ১০ তারিখকে বলা হয় ইয়ামু আশুরা বা আশুরার দিন . ইসলাম আসার পূর্ব থেকেই পূর্ববর্তী লোকেরা এ মাসের গুরুত্ব দিয়ে আসছিল এবং ইসলাম আসার পরও মুসলিম উম্মাহ এ মাসকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে আসছে.
রমাযনের রোজা ফরয হওয়ার আগে নবী স. এ মাসেই রোজা রাখতেন.
মুহাররম মাসের ফজিলত সম্পর্কে হাদীস
শরীফে বহু বর্ণনা লিপিবদ্ধ রয়েছে । এসব
ফজিলতের আলোকে মুসলিম উম্মাহর জন্য এ
মাসের সুনির্দিষ্ট সুন্নাহ মোতাবেক আমল হল-
আশুরার রোজা ।
আশুরার রোজার ফজিলত
প্রসংগে বর্ণিত হাদীস থেকে করেকটি নিম্নে
পেশ করা হল।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণী:
“আমি আল্লাহর নিকট প্রতিদান প্রত্যাশা করছি
আরাফার রোজা বিগত বছর ও আগত বছরের
গুনাহ মার্জনা করবে। আরও প্রত্যাশা করছি
আশুরার রোজা বিগত বছরের গুনাহ মার্জনা
করবে।”
[সহিহ মুসলিম হা/১১৬২)]
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে
বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম বলেছেনঃ রমজানের পর শ্রেষ্ঠ রোযা
হলো আল্লাহর মাস মুহাররামের রোযা। -
{সহিহ মুসলিম হা/ ২৮১২)
উপরোক্ত সহীহ্ হাদীস গুলোর আলোকে বুঝা গেল যে আশুরার রোযা অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ এবং ফযিলতপূর্ণ.
তবে আমাদের কিছু ভাই মুহাররম ও আশুরা কে কেন্দ্র করে নানা রকম জাল হাদীসের করালগ্রাসের শিকার হয়ে ইচ্ছায় অনিচ্ছায় বিদয়াত ও কুফরীর মত মারাত্মক গুনাহে পতিত হয়ে থাকে.
(আল্লাহ আমাদের কে মুক্ত রাখুন)
সামনে ধারাবাহিক ভাবে "জাল হাদীসের কবলে পবিত্র আশুরা " শীর্ষক আলোচনা করার আশা রাখি
ইনশাআল্লাহ .
বন্ধুরা সংগেই থাকুন

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন