বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৫

জ্ঞান বিজ্ঞানে, বিশেষ করে গবেষণামূলক বিজ্ঞান (empirical science) মুসলিমদের অবদান(কুরআন ও বিগ ব্যাং থিওরি)

যারা নাস্তিক তারা একটা কথা বলে যে , তারা আল্লাহ ফেরেশতা, পরকাল , জান্নাত জাহান্নামে বিশ্বাস করেনা কারন এগুলো বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণ করা যায়না। তাদের জ্ঞানের স্বল্পতার কারণেই ধরনের কথা তারা বলে। আমার খুব হাসি পায় এই কথাটা শুনলে,কারণ "গবেষণা করে জ্ঞান লাভ করতে হবে (empiricism)" এই ফিলসফি/বিদ্যার জনক কিন্তু মুসলিমরাই (ইবনে সিনা, আল-হাযম,ইবনে তুফাইল )। কুরআনে আল্লাহ মুসলিমদের বারবার তাদিগ দেয় আল্লাহর সৃষ্টি গবেষণা করতে। তারা যদি আসলেই বিজ্ঞান সম্বন্ধে জ্ঞান রাখতো তাহলে এই কথাটা বলতোনা।
আর দেখবেন যারা ন্যাচারাল সায়েন্স যেমন ফিজিক্স, বায়োলজি ইত্যাদি নিয়ে গবেষণা করেন, তারাই সবচেয়ে আস্তিক হয়। মুসলিম না হোক, কিন্তু তারা এটা অস্বীকার করতে পারেনা যে সৃষ্টিকর্তা একজন আছেন কারণ তারা তাদের গবেষণার পদে পদে দেখেন যে প্রতিটি বস্তু একটি সুনির্দিষ্ট কারণে তৈরি হয়েছে, এবং সে তার কাজ নিখুঁত ভাবে করে যাচ্ছে। আকাশ পৃথিবীর সুবিশাল কর্মযজ্ঞ কোন চান্স অথবা বিনাকারণে নয়। কেউ খুব সূক্ষ্মভাবে প্লান করেই তাদের তৈরি করেছে এবং তাদের কর্মপদ্ধতি নির্ধারিত করেছেন।
আল্লাহ সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, তাঁকে ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই। ফেরেশতাগণ এবং ন্যায়নিষ্ঠ জ্ঞানীগণও সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, তিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। তিনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়। ( আলে ইমরান ১৮)
স্যারের মুখই প্রথম শুনেছিলাম যে যুদ্ধক্ষেত্রে রকেট প্রথম ব্যবহার করেছিলেন টিপু সুলতান। উনি একটা সুন্দর কথা বলেছিলেন, যে আধুনিক এই সভ্যতার ভিত্তি আসলে মুসলিমরাই গড়েছে। কিন্তু তারা একসময় ভোগবিলাসে লিপ্ত হয়ে যাওয়াতে তারা এটার সুফলটা ভোগ করতে পারেনি। যেটা করছে ইউরোপিয়ানরা। ইউরোপিয়ানরা যখন মুসলিমদের জ্ঞান বিজ্ঞান গুলো অধ্যয়ন করে অন্ধকার যুগ থেকে রেনেসাঁর দিকে ধাবিত হচ্ছিল, মুসলিমরা তখন ব্যস্ত ছিল কবর সাজাতে।
মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থে(কুরআনে) দুইটা কনসেপ্ট আছে। পুরো বিশ্বব্রহ্মাণ্ড অতীতে একত্রিত ছিল, এবং সেখান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পৃথিবী, নভোমণ্ডল তৈরি হয়। এবং বিশ্বজগত ক্রমাগত সম্প্রসারিত হচ্ছে।
হাবল টেলেস্কোপ আবিষ্কার হবার পর প্রথম লক্ষ করা হয় যে গ্যালাক্সিগুলো একে অপরের থেকে দুরে সরে যাচ্ছে। আর যেহেতু তারা প্রতি মুহূর্তেই দুরে যাচ্ছে, তাহলে বোঝা যায় অতিতে কোন এক সময় তারা আরও কাছাকাছি ছিল, এবং আরও অতিতে একত্রিত ছিল।
এই হল বিখ্যাত "বিগ ব্যাং থিওরি" অতি সংক্ষেপে।
-------------------------------------------------------------------------
বিগ ব্যাং থিওরির আয়াতের রেফারেন্স -
সুরাহ আম্বিয়া ৩০) যারা অবিশ্বাস পোষণ করে তারা কি দেখে না যে মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবী উভয়ে একাকার ছিল, তারপর আমরা তাদের দুটিকে বিচ্ছিন্ন করে দিলাম, আর পানি থেকে আমরা সৃষ্টি করলাম প্রাণবন্ত সবকিছু। তারা কি তবুও বিশ্বাস করবে না?
সুরাহ আয যারিয়াত ৪৭ ) আমরাই নভমণ্ডলী তৈরি করেছি শক্তির দ্বারা, এবং আমরাই তাকে সম্প্রসারণ করছি।
(প্রসঙ্গ "আমরা"ঃআল্লাহ এক।কিন্তু কুরআন এ উপরিউক্ত আয়াতগুলোর মত অনেক জায়গায় "আমরা"(নাহনু)ব্যবহার হয়েছে।অনেক Atheists তথা নাস্তিকদের প্রশ্ন,তাহলে আল্লাহ এক হয় কেমনে?(নাউজুবিল্লাহ মিন জাহেল)।
ব্যাখ্যাঃ ২ ধরনের বহুবচন আছে।ইংরেজি সহ অনেক ভাষায়ই বহুবচন ২ রকম .১টি সংখ্যা আধিক্য এর কারনে বহু বচন এবং আরেকটি সম্মানার্থে।
যেমনঃইংল্যান্ডের রানী বা কোন দেশ এর প্রেসিডেন্ট যখন বক্তৃতা দেয় তখন তারা "I" এর পরিবর্তে "We"বলে।এটা হল "royal plural"।ঐ রানী বা প্রেসিডেন্ট যখন "I" এর পরিবর্তে "We"বলে তখন সে নিশ্চয়ই অনেকজন হয়ে যায় না একজনই থাকে তেমনি সকল বাদশাহ এর বাদশা যখন "আমরা"বলে তেমনি সেও "এক" ই থাকে।আল্লাহু আকবর।
আল্লাহ তা'য়ালার অস্তিত্ব তার প্রতিটা সৃষ্টি ও প্রতিটা system এর মধ্যে বিদ্যমান।
আল্লাহুম মাহদিনি ওয়া সাদিদনি।আমিন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন