খুব নগণ্য হওয়া সত্ত্বেও নাস্তিকদের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদ হচ্ছে, লেখালেখি হচ্ছে৷ আর এসব ঈমানী তাগিদেই হচ্ছে৷ কিন্তু আমরা ভুলে গেছি, উদাসীন হয়ে আছি নাস্তিকদের চেয়েও বেশি ক্ষতিকর মুসলিম লেবাস এবং মুসলিম নাম-সর্বস্ব আমাদের আশপাশের অসংখ্য-অগণিত মুনাফিকদের ব্যাপারে৷ তাদের সংখ্যা এত বেশি যে, হাট-বাজার থেকে যদি তাদেরকে এবং সত্যিকার মুসলিমদেরকে আলাদা করা হয়, তখন শতকরা দশজন মুসলিম পাওয়া যাবে কী না সন্দেহ আছে৷
আমরা একটা বদ্ধমূল ধারণা নিয়ে নিশ্চিন্তে বসে আছি যে, মুনাফিক তো রাসূলের (সা,) যামানায় ছিলো, রাসূলের (সা,) ইন্তেকালের পর থেকে আর মুনাফিকের অস্তিত্ব নেই৷ এখন যা আছে সব প্রতিকী এবং আমলী৷ হযরত হাসান বসরী (রাহ,) মনে করতেন 'নিফাক' স্থিতিশীল এবং এখনো বিদ্যমান৷ কেউ কেউ তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিল, এযুগেও কী 'নিফাক' -এর অস্তিত্ব আছে?
তিনি বলেছিলেন-
لوخرجوامن أزفةالبصرة لاستوحشتم فيها
"মুনাফিকরা যদি বসরার গলি-ঘুপচি থেকে বেরিয়ে যায়, তাহলে শহরে তোমাদের মন টেকানো মুশকিল হয়ে পড়বে৷" অর্থাৎ শহরের অধিবাসীদের ভেতর তাদের সংখ্যাই বেশি৷ তিনি অন্য একবার বলেছিলেন-
ياسبحان الله! مالقيت هذه الأمة منافق قهرهاواستاثر عليها
"আল্লাহর কী শান দেখুন! এই উম্মতের মধ্যেও এমন সব মুনাফিক প্রাধান্য বিস্তার করে রেখেছে, যারা ধ্বংসাত্মক রকমের স্বার্থপর৷" (সংগ্রামী সাধকদের ইতিহাস ১/৭৪) এসব কথা দ্বারা এটাই প্রতীয়মান হয় যে, মুনাফিক অতীতে যেমন যুগ যুগ ধরে ছিলো, বর্তমানেও আছে, ভবিষ্যতেও এরা ইসলাম এবং মুসলমানের ক্ষতি সাধনে সদা তৎপর থাকবে৷
তিনি বলেছিলেন-
لوخرجوامن أزفةالبصرة لاستوحشتم فيها
"মুনাফিকরা যদি বসরার গলি-ঘুপচি থেকে বেরিয়ে যায়, তাহলে শহরে তোমাদের মন টেকানো মুশকিল হয়ে পড়বে৷" অর্থাৎ শহরের অধিবাসীদের ভেতর তাদের সংখ্যাই বেশি৷ তিনি অন্য একবার বলেছিলেন-
ياسبحان الله! مالقيت هذه الأمة منافق قهرهاواستاثر عليها
"আল্লাহর কী শান দেখুন! এই উম্মতের মধ্যেও এমন সব মুনাফিক প্রাধান্য বিস্তার করে রেখেছে, যারা ধ্বংসাত্মক রকমের স্বার্থপর৷" (সংগ্রামী সাধকদের ইতিহাস ১/৭৪) এসব কথা দ্বারা এটাই প্রতীয়মান হয় যে, মুনাফিক অতীতে যেমন যুগ যুগ ধরে ছিলো, বর্তমানেও আছে, ভবিষ্যতেও এরা ইসলাম এবং মুসলমানের ক্ষতি সাধনে সদা তৎপর থাকবে৷
মুনাফিক তো তারাই, যারা নিজেদের বেলায় মুখে মুসলিম দাবি করবে বটে, কিন্তু অন্তরে তাদের ইসলামের লেশমাত্রও থাকবে না৷ বরং ইসলামের শত্রুদেরকে তারা বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে, নানাভাবে তারা নাস্তিক, মুরতাদদেরকে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে সাহায্য, সহযোগিতা ও তাদের প্রোটেকশন দেবে৷ এরাই বাস্তব মুনাফিক৷ রাসূলের (সা,) যুগে যাদের প্রধান নেতা ছিলো 'আবদুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সালূল৷' আর এই যুগে মুনাফিকদের প্রধান নেতা হলো মিস্টার আ গা চৌ৷
এই কুখ্যাত মুনাফিক আ গা চৌ আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের ৯৯ টি সিফাতী নামকে হিন্দুদের মুর্তির নামের সঙ্গে তুলনা করেছে (নাউযুবিল্লাহ)৷ আম্বিয়ায়ে কেরামের পরে মানবজাতির মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মানব সাহাবী হযরত আবুবকর (রা,)-কে বকরীর পিতা বলে তার মূর্খতা ও ধৃষ্টতা জাতির সামনে স্পষ্ট করেছে৷ এই বুড়ো মুনাফিক লিডার প্রবাসে বসে বিভিন্ন কলাম ও বক্তৃতার মাধ্যমে অত্যন্ত সূক্ষ্ম ও সুচতুরভাবে ইসলামের উপর আঘাত হেনে চলেছে৷ তার অসংখ্য মুনাফিক অনুসারী সারাদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে, যারা তার কথাগুলোকে অন্ধভাবে সমর্থন করে৷ মুসলিম নামধারী হলেও নাস্তিক, মুরতাদ, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে গালাগালকারী নবীর দুশমনদের বিরুদ্ধে কথা বললে তাদের আঘাত লাগে, গায়ে জ্বলে৷ অথচ রাসূলের বিরুদ্ধে, ইসলামের বিরুদ্ধে যখন নাস্তিকরা কটুক্তিমূলক কথা বলে, তখন তাদের একটুও কষ্ট লাগে না৷ বস্তুত এরাই মুনাফিক, এতে কোনো সন্দেহ নেই৷ আশা করি মুনাফিক চিনতে এখন আর কেউ ভুল করব না৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন