উত্তর: বিবাহ মানবজাতির জন্য আল্লাহ প্রদত্ত অন্যতম প্রধান নে‘মত।
আল্লাহ বলেন, তাঁর নে‘মতসমূহের অন্যতম হ’ল তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের নিকট প্রশান্তি লাভ করতে পার।
(রূম ২১)
সেকারণ বিবাহ সহজে সম্পন্ন হওয়া যরূরী।
রাসূল (ছাঃ) বলেন, সর্বোত্তম বিবাহ হ’ল যা সহজভাবে সম্পন্ন হয়।
(ইবনু হিববান, ছহীহুল জামে‘ হা/৩৩০০)
আর বিবাহের প্রধান শর্ত হ‘ল মোহর আদায় করা (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩১৪৩)
এর পরিমাণ শরী‘আত কর্তৃক নির্ধারিত নয়। তবে পরিমাণে তা যত কম হয়, ততই উত্তম।
রাসূল (ছাঃ) বলেন, শ্রেষ্ঠ মোহর যা সহজে পরিশোধযোগ্য।
(বায়হাক্বী, ছহীহুল জামে‘ হা/৩২৭৯)
-
ওমর (রাঃ) বলেন, ‘মেয়েদের মোহর সীমাহীন করো না। কেননা সীমাহীন মোহর নির্ধারণ যদি দুনিয়ায় সম্মান অথবা আখেরাতে তাক্বওয়া অর্জনের কারণ হ’ত, তবে এরূপ মোহর প্রদানে আল্লাহর নবী আগ্রহী হ’তেন। কিন্তু তিনি তার কোন স্ত্রী বা কন্যার মোহর বারো উক্বিয়া বা ৪৮০ দিরহামের অধিক নির্ধারণ করেননি।
(আহমাদ, তিরমিযী, নাসাঈ প্রভৃতি মিশকাত ‘মোহর’ অধ্যায় হা/৩২০৪)
রাসূল (ছাঃ) কুরআন শিক্ষা প্রদান, লোহার আংটি।
(বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩২০২)
এমনকি ইসলাম গ্রহণের শর্তেও বিবাহ প্রদান করেছেন (নাসাঈ, মিশকাত হা/৩২০৯)
-
তবে স্বেচ্ছায় স্ত্রীকে মোহর বেশীও প্রদান করা যায়।
জনৈক ছাহাবী তার স্ত্রীকে সে যুগে এক লক্ষ দিরহাম সমমূল্যের জমি প্রদান করেছিলেন।
(হাকেম, আবুদাঊদ, ইরওয়া হা/১৯২৪ ও ৪০)
বাদশাহ নাজাশী রাসূল (ছাঃ)-এর এক স্ত্রী উম্মে হাবীবাহর মোহর প্রদান করেছিলেন।
যার পরিমাণ ছিল সেযুগের চার হাযার দিরহাম।
(নাসাঈ, মিশকাত হা/৩২০৮)
-
‘মোহরে ফাতেমী’ বলে ইসলামে কোন পরিভাষা নেই।
মোহরে ফাতেমী তথা বিশেষ ফযীলতের আশায় ফাতেমা (রাঃ)-কে প্রদত্ত মোহর অনুসরণ করা শী‘আদের আবিষ্কৃত রীতি।
রাসূল (ছাঃ) আলী (রাঃ)-কে তার প্রশস্ত ও ভারী ঢালটিকে মোহর হিসাবে ফাতিমা (রাঃ)-কে দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেছিলেন।
(নাসাঈ হা/৩৩৭৫)
তাই বলে এটা অনুসরণে বিশেষ কোন ফযীলত রয়েছে, এমনটি নয়।
----------------------
দারুল ইফতা
হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
আল্লাহ বলেন, তাঁর নে‘মতসমূহের অন্যতম হ’ল তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের নিকট প্রশান্তি লাভ করতে পার।
(রূম ২১)
সেকারণ বিবাহ সহজে সম্পন্ন হওয়া যরূরী।
রাসূল (ছাঃ) বলেন, সর্বোত্তম বিবাহ হ’ল যা সহজভাবে সম্পন্ন হয়।
(ইবনু হিববান, ছহীহুল জামে‘ হা/৩৩০০)
আর বিবাহের প্রধান শর্ত হ‘ল মোহর আদায় করা (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩১৪৩)
এর পরিমাণ শরী‘আত কর্তৃক নির্ধারিত নয়। তবে পরিমাণে তা যত কম হয়, ততই উত্তম।
রাসূল (ছাঃ) বলেন, শ্রেষ্ঠ মোহর যা সহজে পরিশোধযোগ্য।
(বায়হাক্বী, ছহীহুল জামে‘ হা/৩২৭৯)
-
ওমর (রাঃ) বলেন, ‘মেয়েদের মোহর সীমাহীন করো না। কেননা সীমাহীন মোহর নির্ধারণ যদি দুনিয়ায় সম্মান অথবা আখেরাতে তাক্বওয়া অর্জনের কারণ হ’ত, তবে এরূপ মোহর প্রদানে আল্লাহর নবী আগ্রহী হ’তেন। কিন্তু তিনি তার কোন স্ত্রী বা কন্যার মোহর বারো উক্বিয়া বা ৪৮০ দিরহামের অধিক নির্ধারণ করেননি।
(আহমাদ, তিরমিযী, নাসাঈ প্রভৃতি মিশকাত ‘মোহর’ অধ্যায় হা/৩২০৪)
রাসূল (ছাঃ) কুরআন শিক্ষা প্রদান, লোহার আংটি।
(বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩২০২)
এমনকি ইসলাম গ্রহণের শর্তেও বিবাহ প্রদান করেছেন (নাসাঈ, মিশকাত হা/৩২০৯)
-
তবে স্বেচ্ছায় স্ত্রীকে মোহর বেশীও প্রদান করা যায়।
জনৈক ছাহাবী তার স্ত্রীকে সে যুগে এক লক্ষ দিরহাম সমমূল্যের জমি প্রদান করেছিলেন।
(হাকেম, আবুদাঊদ, ইরওয়া হা/১৯২৪ ও ৪০)
বাদশাহ নাজাশী রাসূল (ছাঃ)-এর এক স্ত্রী উম্মে হাবীবাহর মোহর প্রদান করেছিলেন।
যার পরিমাণ ছিল সেযুগের চার হাযার দিরহাম।
(নাসাঈ, মিশকাত হা/৩২০৮)
-
‘মোহরে ফাতেমী’ বলে ইসলামে কোন পরিভাষা নেই।
মোহরে ফাতেমী তথা বিশেষ ফযীলতের আশায় ফাতেমা (রাঃ)-কে প্রদত্ত মোহর অনুসরণ করা শী‘আদের আবিষ্কৃত রীতি।
রাসূল (ছাঃ) আলী (রাঃ)-কে তার প্রশস্ত ও ভারী ঢালটিকে মোহর হিসাবে ফাতিমা (রাঃ)-কে দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেছিলেন।
(নাসাঈ হা/৩৩৭৫)
তাই বলে এটা অনুসরণে বিশেষ কোন ফযীলত রয়েছে, এমনটি নয়।
----------------------
দারুল ইফতা
হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন