বুধবার, ১ জুন, ২০১৬

বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের কি-পয়েন্টে এরা কারা?


আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে যে, ৯২ভাগ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যা অধ্যুষিত একটি দেশের জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ মুসলমানদের হাতে নেই। 
.
নিচের তালিকাটি কি আসলেই বাংলাদেশের নাকি অন্য কোন দেশের!

১. প্রাথমিক শিক্ষা অধিপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) শ্যামল কান্তি ঘোষ।
.
২. পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সচিব বজ্র গোপাল ভৌমিক।
.
৩. কারিগরি শিক্ষা অধিপ্তরের মহাপরিচালক ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব অশোক কুমার বিশ্বাস।
.
৪. সৃজনশীল পদ্ধতি বাস্তবায়নকারী মাধ্যমিক শিক্ষা খাত উন্নয়ন কর্মসূচির (সেসিপ) যুগ্ম পরিচালক রতন কুমার রায়।
.
৫.সৃজনশীল পদ্ধতি বাস্তবায়নকারী মাধ্যমিক শিক্ষা খাত উন্নয়ন কর্মসূচির (সেসিপ) বিশেষজ্ঞ ড. উত্তম কুমার দাশ।
.
৬. ঢাকা বোর্ডের উপ-কলেজ পরিদর্শক অদ্বৈত কুমার রায়।
.
৭. চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিব ড. পীযুষ কান্তি দন্ত।
.
৮. শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র ঢালী।
.
৯. বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়্যারম্যান নারায়ন চন্দ্র পাল।
.
১০. ঢাকা বোর্ডের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শ্রীকান্ত কুমার চন্দ্র।
.
১১. শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব অজিত কুমার ঘোষ।
.
১২. শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব পতিত পাবন দেবনাথ।
.
১৩. শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব অসীম কুমার কর্মকার।
.
১৪. শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-প্রধান স্বপন কুমার ঘোষ।
.
১৫. শিক্ষামন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্রী বনমালী ভৌমিক।
.
১৬. শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. অরুণা বিশ্বাস।
.
১৭. শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব স্বপন কুমার সরকার।

৯২% মুসলমানের এই দেশের সবচেয়ে গুরত্বপূর্ন মন্ত্রনালয়, শিক্ষামন্ত্রনালয়ের গদিতে যদি এরাই বসে তাহলে পুরো দেশে দাংগা আর অরাজগতা সৃষ্টি হতে খুব অল্প সময় বাকি। বিষয়টা এখন পুরোপুরি পরিষ্কার।

◆ কারণ ইতিমধ্যে তারা...

→ ২য় শ্রেনীর বই থেকে ‘সবাই মিলে করি কাজ’ শিরোনামে মহানবি সাঃ-এর সংগক্ষিপ্ত জীবনি বাদ দিয়েছে...।
.
→ ৩য় শ্রেনীর বই থেকে খলিফা হযরত আবু বকর শিরোনামে একটি সংক্ষিপ্ত জীবনি বাদ দিয়েছে...।
.
→ ৪র্থ শ্রেনীর বই থেকে খলিফা হযরত ওমর রাঃ এর সংক্ষিপ্ত জীবনি বাদ দিয়েছে…।
.
→ ৫ম শ্রেনীর বই থেকে বিদায় হজ্জ নামক শেষ নবীর সংক্ষিপ্ত জীবনি বাদ দেয়ার মত দুঃসাহস দেখিয়েছে…।
:
→ ৫ম শ্রেনীর বইয়ে এদেশের ইসলাম-বিদ্বেষী একজন কুখ্যাত নাস্তিক হুমায়ুন আজাদ লিখিত ‘বই’ নামক কবিতা অন্তর্ভূক্ত করেছে…।

যা মূলত মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআন বিরুধী কবিতা।
.
→ ৬ষ্ঠ শ্রেনীর বইয়ে সত্যেন সেনের ‘লাল গরুটা’ নামক একটি ছোটগল্প। যা দিয়ে মুসলিম শিক্ষার্থীদের শেখানো হচ্ছে গরু হচ্ছে- মায়ের মত, তাই গরু জবাই করা ঠিক নয়; অর্থাৎ হিন্দুত্ববাদ।
.
→৭ম শ্রেনীর বইয়ে শরৎচন্দ্র চট্রপাধ্যায়ের ‘লালু’ নামক গল্প। যাতে শেখানো হচ্ছে হিন্দুদের কালিপুজাঁ ও পাঠাবলির কাহিনি।
.
→৮ম শ্রেনীর বইয়ে হিন্দুদের ধর্ম-গ্রন্থ ’রামায়ন’ এর সংক্ষিপ্ত রুপ অন্তর্ভূক্ত করেছে…।

এরকম বলে শেষ করা যাবে না।
.
ණ পরিশেষে বলতে চাচ্ছি,
আপনার সন্তানদের জিম্মাদার আপনি নিজেই। সুতরাং, এখন থেকে এসকল ইসলাম বিরুধী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে স্বচ্চার হোন। নয়ত, অদুর ভবিষ্যতে বড় অংকের মাশুল গুনতেই থাকবেন। কোন ফায়দার দেখা মিলবে না।
:



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন