তিনদিন হযরতের সোহবতে থাকা অবস্থায় একবার
বললেন, মাওলানা- চার জায়গাতে ৪ জিনিসের হেফাজত করা খুবই জরুরী,
১.মজলিসে জবানের
২.বাজারে চোখের
৩.দস্তারখানায় পেটের
৪. নামাজে দেমাগের।
আমি চমকে উঠলাম এসব ব্যপারে আমার কতো
কমি । তিনি যেন আমার রোগের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন।
.
.
আরো বললেন, ৪ টি জিনিস যা খুবই সর্তকতার
সাথে সর্বাবস্হায় হেফাজত করা ফরজ,
১.চোখের হেফাজত
২.জবানের হেফাজত
৩.কানের হেফাজত
৪. দ্বীলের হেফাজত (শিরিক থেকে পাক রাখা)
.
.
গল্পের মধ্যখানে একবার বললেন , আমার শায়েখ হযরতজী হাজী ছাহেব দাঃবাঃ বলেছেন , দৈনিক ৪ টি কাজ অবশ্যই করা চাই,
১. প্রতিদিন তেলাওয়াত
২. প্রতিদিন দাওয়াতের মেহনত
৩.দৈনিক লম্বা সময় প্রাণ ভরে দোয়া করা।
৪.শেষ রাতে তাহাজ্জুদের এহতেমাম করা।
.
.
অন্য আরেক সময় বললেন, মাওলানা ৪ টি কাজের
এহতেমাম ছাড়া কখনো বুযুর্গি লাভ করা সম্ভব নয়,
১.তাকবিরে উলা
২. মেসওয়াক
৩.নফলিয়াতের এহতেমাম
৪.সকাল বিকাল তিন তাছবিহ আদায়।
.
.
আমি আরো কিছু নসিহত শুনার আগ্রহ প্রকাশ করলে বললেন , বেটা ৪ টি কারনে দ্বীনের উপর চলা সম্ভব হয়না ,
১.বিলাসিতা
২.গাফলাতি
৩.লৌকিকতা
৪.সেচ্চাচারিতা
.
.
উলামাদের খাছ এক মজলিসে বললেন, ৪ টি জজবার কুরবানী না হলে দ্বীনের হাকীকত কখনো আসবে না,
১.আরামের জজবা
২.মালের জজবা
৩.বড়ত্বের জজবা
৪.খাহেশাতের জজবা।
.
.
আরো বললেন , প্রত্যেক ঈমান ওয়ালার ৪টি কাজ জরুরী,
১.ঈমানকে শিখা -দাওয়াতের দ্বারা
২.ঈমানকে পাকানো-কষ্ট মুজাহাদার দ্বারা
৩.ঈমানকে বাঁচানো- আখলাকের দ্বারা
৪.ঈমানকে ছড়ানো-হিজরতের দ্বারা।
.
.
তিনি আরো বললেন, যখন পরস্পরে বিভেদ তৈরি
হবে তখন আর কোন আমলই আসমানে উঠবে না । তাই পারস্পারিক মহব্বত আর ঐক্য প্রত্যেক মুমিনের জন্য জরুরী। ইস্তেমায়িতের জন্য চারটি কাজ করতে হবে।
১.বিনয়,ধৈর্য ও ক্ষমা করা
২.পরামর্শ করে কাজ করা
৩.অর্থ ও স্বার্থের চিন্তা বাদ দিতে হবে।
৪.ব্যক্তিত্ব , হাছাদ ও অহংকার ত্যগ করা।
.
.
বিদায় বেলা আমাকে সর্বশেষে দুটি নসিহত করলেন, তার মধ্যে ১টি হলো, দ্বীনের যাবতীয় কাজে ৪টি বিষয়কে অবশ্যই একত্রে রাখতে হবে, দাওয়াত, তালিম, যিকির ও জিহাদ।
১.দাওয়াতঃ তালিম, যিকির, জিহাদ ছাড়া ক্যনভাসার।
২.তালিমঃ জিকির, জিহাদ ও দাওয়াত ছাড়া গির্জার
পার্দ্রী।
৩.যিকির(তাযকীয়া) : দাওয়াত, তালিম, জিহাদ ছাড়া
সন্নাসী।
৪.জিহাদ: দাওয়াত, তালিম (শরীয়ত) ও যিকির ছাড়া
ধোকাবাজী।
.
.
সর্বশেষে বললেন, মাওলানা সারা দুনিয়াতে ৪ লাইনে দ্বীনের মেহনত চলছে, সব মেহনত কামিয়াব হবে না, ঐমেহনত কামিয়াব হবে যে মেহনতের মিল রাসূল সা:-এর মেহনতের সাথে মিল হবে । সকল মেহনত ওয়ালাই কামিয়াব হবে না বরং সেই কামিয়াব হবে যার যিন্দেগী রাসূলে পাক সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসসাল্লামের যিন্দেগীর সাথে মিল হবে।
.
.
৪ লাইনে যে সব মহনত চলছে গোটা পৃথিবীতে তা হলো,
১.কলমঃ লেখা লেখি ও অধ্যায়ন গ্রন্হ প্রকাশ।
২.কওলঃ সভা সেমিনার সেম্পুজিয়াম।
৩.ক্বলবঃ তাযকীয়া যিকির-আযকার ও আত্বশুদ্ধির
খানকা।
৪. ক্বদমঃ মানুষের দ্বারে দ্বারে যাওয়া এবং আল্লাহর রাস্তায় জান ও মাল কে ব্যয় করা।
রাসুল সাঃ এর কাছে থেকে ছাহাবারা এই ৪র্থ মেহনতটি শিখে সাড়া দুনিয়াতে কদম ফেলে ছড়িয়ে পড়েছিলেন । যেখানে তাদের ক্বদম পড়েছে সেখানেই কলম কলব আর কওমের মেহনত যিন্দা হয়েছে। আজ আমরা ঐ প্রথম মেহনতটা ভুলে গেছি।
আল্লাহ প্রতিটি উপদেশ আমাদেরকে বুঝার ও
অনুধাবন করার এবং আমল করার তাওফিক দান করুন! আমীন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন