তিব্বতের বৌদ্ধদের আধ্যাত্মিক নেতা হিসেবে পরিচিত দালাই লামা জার্মানিতে আরব মুসলিম শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার সমালোচনা করে বলেছেন, জার্মানি আরব ভূমি হতে পারে না।
নিজে একজন শরণার্থী হলেও দালাই লাম বলেন, শরণার্থীদের সাময়িককালের জন্য আশ্রয় নেয়া উচিত এবং যুদ্ধ শেষ হলে দেশে ফিরে যাওয়া উচিত।
ভারতে নির্বাসিত দালাই লাম তার কার্যালয় ধর্মশালায় বসে একটি জার্মান পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, জার্মানিতে মুসলিম শরণার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি হয়ে গেছে। আরব মুসলিমদের আশ্রয় দিয়ে ইউরোপ তার চরিত্র হারাচ্ছে।
তার ভাষায়, ‘ইউরোপ, উদাহরণস্বরূপ জার্মানি আরব ভূমিতে পরিণত হতে পারে না। জার্মানি জার্মানিই। ’ জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল মুসলিম শরণার্থী, বিশেষ করে সিরীয় শরণার্থীদের উদারভাবে গ্রহণ করায় বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছেন।
তবে নিজ দেশে মুসলিম বিদ্বেষী এবং উগ্র জাতীয়তাবাদীরা তার সমালোচনায় মুখর। ৫০ বছর ধরে ভারতে নির্বাসিত দালাই লামা প্রকারান্তরে শরণার্থী বিরোধীদের শিবিরেই নাম লেখালেন।
গত বছর জার্মানি প্রায় ১১ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে যাদের বেশিরভাগই সিরিয়া, আফগানিস্তান, ইরাক এবং মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের নাগরিক।
এসব দেশে সঙ্কটের জন্য পাশ্চাতের নীতি দায়ী বলে মনে করেন অনেক বিশ্লেষক। তবে শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে একমাত্র জার্মানি ছাড়া কোনো পশ্চিমা দেশই খুব আগায়নি।
নিজ দেশে জীবন দুর্বিষহ হওয়ায় বিপজ্জনক সাগর পাড়িয়ে দিয়ে ইউরোপ যাবার চেষ্টাকালে চলতি বচরই অন্তত ২৫০০ শরণার্থী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
এরকম পরিস্থিতে দালাই লামার শরণার্থী বিরোধী অবস্থানে বহু লোক ক্ষুব্ধ হতে পারেন।
সম্ভবত এটা অনুধাবন করেই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমরা যখন প্রতিটি শরণার্থীদের, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের মুখের দিকে তাই তখন তাদের কষ্ট বুঝতে পারি।’
‘যেসব লোকের সামর্থ্য আছে মানুষ হিসেবে তাদের সাহায্য করা কর্তব্য। কিন্তু অন্যদিকে তারা (শরণার্থী) তো সংখ্যায় অনেক বেশি।’
‘তারা এতোটাই বেশি যে বাস্তবে এটা (তাদের সাহায্য করা) কঠিন।’
সূত্র: ডেইলি মেইল
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন