আসসালামুআলাইকুম।সন্মানিত মুফতি,আমার নিম্নোক্ত প্রশ্নের যথাশিঘ্র উত্তর
দিয়ে বাধিত করবেন ইনশাআল্লাহ।
রমজান মাসে শয়তানকে শৃংখলাবদ্ধ করে রাখা সত্বেও কেন আমরা নামাজ রোজা
ত্যাগ,যেনা ব্যভিচার,অন্যায় অশ্লীলতা সহ সব ধরনের পাপাচারে লিপ্ত
হই?আল্লাহ আপনাকে নেক হায়াত দান করুন।আমিন
দিয়ে বাধিত করবেন ইনশাআল্লাহ।
রমজান মাসে শয়তানকে শৃংখলাবদ্ধ করে রাখা সত্বেও কেন আমরা নামাজ রোজা
ত্যাগ,যেনা ব্যভিচার,অন্যায় অশ্লীলতা সহ সব ধরনের পাপাচারে লিপ্ত
হই?আল্লাহ আপনাকে নেক হায়াত দান করুন।আমিন
প্রশ্নকারী
মোঃ আপেল মাহমুদ
সোনাতলা বগুড়া
মোঃ আপেল মাহমুদ
সোনাতলা বগুড়া
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীসের বর্ণনা দ্বারা শয়তান বন্দি থাকার বিষয়টি পরিস্কার হবার পরও রমজানে মানুষ কেন পাপ করে তার বেশ কিছু জবাব মুহাদ্দিসীনে কেরাম দিয়েছেন। যেমন-
১
মানুষ পাপ করে দুই কারণে। এক হল তার মনের কুপ্রবৃত্তির কারণে। আরেকটি হল শয়তানের প্ররোচনায়। শয়তান বন্দি থাকলেও মনের কুপ্রবৃত্তির কারণে মানুষ পাপ করে থাকে।
২
সকল শয়তান বন্দী করা হয় না, কিছু শয়তান বন্দি করা হয়। তাই অন্য শয়তানদের প্ররোচনায় মানুষ পাপ করে।
৩
রমজানের আগে করা পাপের প্রভাবে মানুষ পাপ করে থাকে। যেমন গরম থেকে আসলে শরীর থাকে তেমনি।
৪
রমজানে শয়তানের পরোক্ষ হস্তক্ষেপ বন্ধ থাকলেও পরোক্ষ হস্তক্ষেপ বন্ধ থাকে না। তাই মানুষ পাপ করে।
৫
কারো মতে রাতে শয়তান বন্দি থাকে, দিনের বেলা নয়।
৬
শয়তান বন্দি হয়, মানে মানুষের মনে ইবাদতের আকাংখা বৃদ্ধি পায়। মূলত শয়তান বন্দি হয় না।
বিস্তারিত জানতে দেখুন- ফাতহুল বারী, উমদাতুল কারী, মিরকাতুল মাফাতীহ, উমদাতুল কারী, শরহে মুসলিম লিননাবাবী, শরহুজ যুরকানী লিলমুয়াত্তা, ফায়জুল বারী}
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন