ইসলামের শিকড় গেঁথে আছে যেখানে৷ হারামাইন শরীফাইন৷ মুসলিম জাতির অস্তিত্বের প্রশ্ন যে পবিত্র স্থান দুটিকে ঘিরে৷ এই দুটি স্থানকে ঘিরে যাদের ষড়যন্ত্র আজীবনের৷ অন্তত তাদের সুরে সুর মিলিয়ে সৌদি আরবকে ঘায়েল করার চেষ্টা না করি৷ যদিও মুসলিমদের রক্ত বেচা-কেনার অন্যতম সওদাগর সৌদীর বর্তমান শাসকগোষ্ঠী৷ কিন্তু সেই হিসাব-নিকাশ মেলাবার সময় এখন নয়৷
খুলাফায়ে রাশিদীন আবু বকর রা, উমার রা, ও উসমান রা, এর প্রতি অন্তরে চরম বিদ্বেষ পোষণকারী গোষ্ঠী, উম্মুল মু'মিনীন আয়িশা রা, এর চরম দুশমন, ইহুদী ইবনে সাবা'র বংশধররা যেখানে বড় গলায় কথা বলতে শুরু করেছে, বুঝতে হবে বিরাট ষড়যন্ত্র এদের মাথায় কাজ করছে৷ এরা হজ্ব ব্যবস্থাপনায় ভাগ বসাতে চায়, অথচ পবিত্র হজ্বে আসারই কোনো অধিকার নেই এদের৷ শীয়াদের মধ্যে যাদেরকে উম্মতের অন্তর্ভুক্ত মনে করা হয়, এদের অস্তিত্বই এখন আর নেই বা থাকলেও এরা খুবই নগণ্য৷ বর্তমানে যারা শাসক তারা সবাই ইমামিয়া ইসনা-আশারিয়া দলভুক্ত শীয়া৷ জঘন্য আকীদার অধিকারী এরা৷ এরা উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয় বলে উম্মতের উলামায়ে কেরাম একমত৷ এরা তো হজ্বেই আসতে পারে না৷ আবার হজ্ব ব্যবস্থাপনায় অংশীদারিত্ব৷ সৌদী সরকারের বড় ভুল হচ্ছে, এদেরকে হজ্বের সুযোগ দেয়া৷
শীয়াদের ব্যাপারে সৌদী সরকারের নমনীয় মনোভাবের কারণেই আজ উল্টো সৌদী আরবের বিরুদ্ধেই তারা খড়গহস্থ৷ সৌদী আরব দেশ হিসেবে তাদের ব্যাপারে মুসলিম বিশ্বের ক্ষোভের অন্ত নেই৷ অভিযোগ-অনুযোগের শেষ নেই৷ কিন্তু মুসলিম জাতির যাবতীয় সিম্পেথির কেন্দ্রবিন্দু এখানে বিদ্যমান৷ এর সাথে জড়িয়ে আছে আমাদের আবেগ-অনুভূতির সবগুলো সঞ্চয়৷ এই ভূমি ইসলামের আঁতুড়ঘর৷ আল্লাহ তাআলার অসংখ্য নিদর্শনাবলী সমৃদ্ধ এই পবিত্র ভূমির আকাশে শকুনেরা উড়াউড়ি করবে আর মুসলিম হিসেবে আমরা নিরুদ্বেগ বসে থাকব, এটা কখনোই ঈমানের দাবি হতে পারে না৷ এখন কিন্তু শকুনদের মোকাবেলায় হারামাইন শরীফাইনের ইজ্জত রক্ষার তাগিদে সৌদীকেই সমর্থন যুগিয়ে যেতে হবে৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন