১. ৯৬৯ কি ?
ইহা একটি মুসলিম বিদ্বেষী সংগঠন যা বোদ্ধ সন্নাসীরা গঠন করেছে । যা দ্বারা গোতম বোদ্ধ এর গুন ,বোদ্ধদের কর্ম ও বুদ্ধদের সমাজকে বুঝিয়েছে । ৯ দ্বারা তাদের দেবতা সন্ত্রাসী গোতম বুদ্ধের গুন , ৬ দ্বারা সন্ত্রাসী গোতম বুদ্ধের শিক্ষা , ৯ দ্বারা বুদ্ধিষ্ট সংঘ এর গুন বুঝিয়েছে । ইহা নাকি বুদ্ধের ৩ রত্ন । ইহা বুদ্ধ ধর্মের চাকার থিম ও বটে । মুলত এই ৯৬৯ উগ্র মুসলিম বিদ্বেষী সংগঠন যা মুসলিম ভীতি ছড়াতে কাজ করে। সন্ত্রাসী সন্নান্সী আসিন উইরাথু এই সংগঠন বর্তমানে পরিচালিত করে। ২০১২ সালের দাংগা সহ সকল দাংগায় সে মুসলমানদের উপর অবর্ননীয় নির্যাতন করেছে সাথে পুলিশকে বাধা দিয়েছে প্রতিরোধ করার জন্য। টাইম ম্যাগাজিনের শিরোনাম 'বৌদ্ধ সন্ত্রাস মুখে' আসিন উইরাথু উপর একটি গল্প স্থাপিত হয়. তার ছবি ম্যাগাজিনের জুন ২০১৩ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। সে তখন বলেছিল- ১. আপনি দয়াবান হতে পারেন,অন্তরে মুহব্বত থাকতে পারে কিন্তু আপনি পাগলা কুকুরের সাথে ঘুমাতের পারেননা । পাগলা কুকুর বলতে সে মুসলমান উনাদের বুঝিয়েছে । ২. আমরা যদি দুর্বল হই,মুসলমান আমাদের ভুমি নিয়ে নিবে।এ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় সরকার সন্ত্রাসী উইরাথুকে সার্বিক সহযোগীতা করে।
২. পার্বত্য চট্রগ্রামে বোদ্ধ ভান্তেরাও ৯৬৯ গঠন করেছে ।
thereport24 ০৬- ২০১৪ সালে লিখিত এক প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে যে এই সংগঠনের সাথে মিল রেখে পার্বত্য চট্রগ্রাম সহ বাংলাদেশের বসবাসরত বোদ্ধ সন্ত্রাসীরা মিয়ানমারের চরমপন্থী বৌদ্ধ সংগঠন, '৯৬৯অনুরূপ চরমপন্থী বৌদ্ধ একটি দল গঠন করেছে ।পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য মিয়ানমারের ৯৬৯ এর কাছ থেকে প্রশিক্ষণ পেয়েছে তারা।৯৬৯ এর সদস্যরা বাংলাদেশ এর পার্বত্য চট্রগ্রামেও এসেছিল । গত কয়েক বছরে, ৯৬৯ ব্যাপকভাবে মিয়ানমারের সন্ন্যাসীদের দ্বারা সংগঠিত একটি চরমপন্থী আন্দোলন হিসাবে পরিচিত হয়েছে। ৯৬৯ সংগঠনকে মায়ানমার সরকার পৃষ্ঠপোষোকতা দেয়।
৯৬৯ এর সদস্যরা শুধু মায়ানমার নয়, বাংলাদেশ সহ সকল বোদ্ধ অধ্যুষিত অঞ্চলে বোদ্ধ সন্নাসীদের অস্ত্র প্রশিক্ষন দিয়ে থাকে যার মুল টার্গেট হল মুসলমান ।প্রতিমাসে থানচি ও মিজোরাম এর অরক্ষিত বর্ডার দিয়ে ১৫ -২০ বোদ্ধ সন্নাসী মায়ানমারে প্রশিক্ষন নিতে যায়।পার্বত্য চট্রগ্রামের উপজাতি বোদ্ধ সন্ত্রাসী যুবকেরা বর্ডার ক্রস করে মায়ানমারে যায় এবং ৯৬৯ এর কাছ থেকে প্রশিক্ষন নেয়। পার্বত্য চট্রগ্রামের ভান্তেরা উগ্র সন্ত্রাসী আসিন ওয়ারাথু এর সাথে সাক্ষাত করেছে। চরমপন্থী বাংলাদেশী সন্ন্যাসী প্রায় এক বছর আগে মিয়ানমারের আশ্রয় নেন এবং ৯৬৯ সদস্যদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কিভাবে ব্যবহার করতে প্রশিক্ষণ নেয় ।
ভয়াবহ বিষয় হল তাদের প্রশিক্ষনের মুল টার্গেট মুসলমানেরা।মায়ানমারের মুসলমানদের হামলায় এসকল ভান্তেরা উস্কে দেয় এবং অংশগ্রহন ও করে।এসকল ভান্তেদের হাত রোহিংগা মুসলমানদের রক্তে রঞ্জিত । মিয়ানমারে আশ্রয় নেওয়া উপজাতীয় যুবকরা মিয়ানমারে ৯৬৯ এর ব্যানারে সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়ে স্থানীয় রোহিঙ্গা স্থাপনা ও পাড়া গ্রামে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে বলে মিয়ানমার থেকে প্রাপ্ত সংবাদে জানা গেছে।
৩.যার প্রমান হাতে নাতেও পাওয়া গেছে । ১১ জুলাই দৈনিক আযাদি নামক পত্রিকার খবরে প্রকাশ হয় যে - বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের তুমব্রু পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশকালে বিজিবি সদস্যরা ২ জন উগ্রপন্থী বৌদ্ধ ভান্তেকে আটক করেছে। ৯ জুলাই ২০১৪ বুধবার রাত ৮টার দিকে বিজিবি তাদের আটক করে। আটক ভান্তেদ্বয়ের কাছ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা, ল্যাপটপ, ক্যামেরা, মোবাইলসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে ।
৪. পার্বত্য চট্রগ্রামের ভান্তেরা এ প্রশিক্ষন কেন নিচ্ছে তা সহজেই বুঝা যায়।মুসলমানদের নিধন ও আলাদা রাষ্ট্র গঠনের যে অলিক স্বপ্ন তারা দেখছে তা বাস্তবায়নের জন্যই তাদের এ প্রশিক্ষন ।ভান্তে সাজা এদের ধর্মীয় আবরন।চিন্তা করার বিষয় হল। একজন মুসলমান কিছু না করলেও তাকে সন্ত্রাসী তকমা দেওয়া হয় । অথচ জীব হত্যা মহাপাপ আর অহংস পরম ধর্মের অনুসারীরা যে লক্ষ লক্ষ মুসলমান শহীদ করছে ,তারা সন্ত্রাসী তকমা পায়না ? !!! গোয়েন্দা রিপোর্টে প্রকাশিত হবার পরেও সরকার আর কতকাল চুপ থাকবে ?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন