বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর, ২০১৫

____ কবীরা গুনাহ্ বা ক্ষমার অযোগ্য গোনাহ্____

১৬নং কবীরা গুনাহ
غش الإمام للرعية وظلمه لهم
শাসক ব্যক্তি কর্তৃক প্রজাদেরকে ধোকা দেয়া এবং তাদের উপর অত্যাচার করা----------
আল্লাহ বলেন-
إِنَّمَا السَّبِيلُ عَلَى الَّذِينَ يَظْلِمُونَ النَّاسَ وَيَبْغُونَ فِي الْأَرْضِ بِغَيْرِ الْحَقِّ أُولَئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ ﴿42﴾. (الشورى:৪২)
‘‘শুধু তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, যারা মানুষের উপর অত্যাচার চালায় এবং পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ করে বেড়ায়। তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি।’’ (সূরা আশ-শূরা : ৪২)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
من غشنا فليس منا) رواه مسلم:৪৮৬৭)
‘‘যে আমাদেরকে ধোকা দেয় সে আমাদের অন্তভুক্ত নয়।’’ (মুসলিম:৪৮৬৭)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন-
الظلم ظلماة يوم القيامة . (رواه البخارى:২২৬৭)
‘‘অত্যাচার কেয়ামতের দিন চরম অন্ধকার হবে।’’ ( বুখারী:২২৬৭)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
أيما راع غش رعيته فهو في النار,(ابن عساكر. صحيح الجامع)
‘‘যে শাসক তার অধীনস্থদের ধোকা দেয়, তার ঠিকানা জাহান্নাম।’’ (ইবনে আসাকির , সহীহ আল জামে)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
من ولي من أمنور المسلمين شيئا فاحتجت دون خلتهم وحاجتهم وفقرهم وفاقتهم احجتب الله عنه يوم القيامة دون خلته وفاقته. (رواه أبو داؤد:২৫৫৯)
‘‘যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে মুসলমানদের প্রতিনিধিত্ব করার দায়িত্ব পান, অতঃপর সে তাদের অভাব-অনটন ও প্রয়োজনের সময় নিজেকে গোপন করে রাখে, আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের দিন তার অভাব দূরকরণের প্রতি লক্ষ্য রাখবেন না।’’ (আবু দাউদ:২৫৫৯)
বর্তমানে আমাদের অবস্থা অত্যন্ত দুঃখজনক কারণ আমরা আমাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করি। । আর বাতিলের ব্যাপারে একেবারেই নিশ্চুপ, নির্বিকার এবং অন্যায়ের কোন প্রতিকার নেই।
=============================
সবার কাছে অনুরোধ শেয়ার বা কপি করতে ভুলবেন না প্লিজ,কারন এটা আপনার পবিএ দ্বায়িত্ব। আল্লাহ্ বলেন.. ঐ ব্যাক্তির কথার চেয়ে কার কথা উওম যে নিজে সৎকর্ম করে এবং অন্যকে সৎকর্ম জন্য আহবান করে।____ সূরা হা-মিম সিজদাহ্--(৩৩)......। নবী সা.বলেন. আমার পরে সবচেয়ে বড় দানশীল ব্যাক্তি তিনি,যে কোন বিষয়ে জানলো এবং অন্যকে তা জানালো.....( বায়হাকী)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন