বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর, ২০১৫

নেপালের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর অভিযোগে

নেপালের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর অভিযোগে সমগ্র নেপালের কেবল অপারেটররা একযোগে নেপালে ইন্ডিয়ান টিভি চ্যানেলগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। শেষখবর পাওয়া পর্যন্ত, স্টার জলসা না দেখার শোকে এখনো কোন নেপালি কাজের মেয়ে বা গৃহবধূ সুইসাইড করে নাই tongue emoticon
.
এদিকে নেপালে সাম্প্রতিক সময়ে সংবিধান সংস্কারের পর ইন্ডিয়ান সরকার সে বিষয়ে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করলে নেপালিজরা রাস্তায় নেমে আসে। তাদের প্রতিবাদের মূল ভাষা ছিল 
" মাইন্ড ইওর ওন বিজনেস ইন্ডিয়া। " 
.
বিবিসির তথ্য অনুযায়ী ইন্ডিয়াও নেপালে পেট্রোলিয়াম সেল আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে। নেপালিরাও টুইটারে কড়া ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে
" We are buying not begging"- আমরা ভিক্ষা করিনা ,কিনে নেই
.
যখন আমাদের দেশের কিছু ইন্ডিয়ার দালাল ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে লজিক দেখাইতে আসে ইন্ডিয়া চিনি, পেয়াজ না দিলে কই যাইবেন। ভাই থামেন ,দেয় মানে? বিনা পয়সার দোকানদারি নাকি। টাকা দিয়া কিনা খাই। নিজেগো হ্যাডমে। দোকান বন্ধ হইলে যেমন ক্রেতা খাইতে পারবো না ,ক্রেতা না কিনলে দোকানদারেরও ভাত যাইব
.
টুইটারে নেপালিজরা একের পর এক টুইট করে BackoffIndia হ্যাশট্যাগ কে ট্রেন্ডিং টপিক্স এ তুলে এনেছে। ইন্ডিয়ান পি এম নরেন্দ্র মোদীর টুইটার আইডিতেই টুইট হয়েছে ১লক্ষ ৮০হাজার বার্। নেপালিজদের করা কয়েকটা টুইট ছিল
"My Nepal, My country, My Problem, My constitution, My Pride...back of India
.
" Dear Indian people. We are not against you. We are against your dirty politics which is trying to interfare in our internal matters."
.
Narendra Modi, don't underestimate us. We will run our country in our own way. "
.
দিস ইজ কলড হ্যাডম। এর মানে এই না যে নেপাল ইন্ডিয়ার থেকে শক্তিশালী। ইন্ডিয়ায় যত মানুষ আছে নেপালের উপর দিয়া হাইটা গেলেও নেপাল মাটির সাথে মিশে যাবে। কিন্তু তারপরও নেপালিজরা সবাই মিলে দেখিয়ে দিয়েছে,ওরা দুর্বল হতে পারে ওরা ছোট হতে পারে কিন্তু ওদের এই ছোট দেশটার সম্মান বজায় রাখার মত বড় কলিজা ওদের আছে।
.
আজকে নেপালিজরা যা করে দেখাচ্ছে ফেলানী হত্যার পর আমরা তা করে দেখাতে পারতাম। কিন্তু আমরা পারিনি। আমাদের অনেক বুদ্ধিজীবি আছে। তেনারা কিছু করার আগে দশদিক ভাবেন। এইটা হইলে ওইটা হইবোনা ওইটা হইলে এইটা হইবোনা এমন হইলে কেমন হইব। ভাগ্যিস এতো বুদ্ধিজীবী একাত্তরে ছিলনা। তাহলে যুদ্ধ করব চিন্তা করতেই করতেই দিন পার হইয়া যাইত। দেশ আর স্বাধীন হইতোনা। নেপালের বেশিরভাগ বানিজ্য কিন্তু ইন্ডিয়ার সাথে হয়। তাই বইলা তারা কিন্তু বইসা থাকেনি। কারণ তারা জানে, তারা বিনা পয়সায় কিছু নেয় না। সো ঠেকাও নাই কারো কাছে। আর এমন না যে বানিজ্য বন্ধ হইয়া গেলে ভারতের ক্ষতি হইবোনা। ক্রেতা না কিনলে দোকানদারেরও ভাত মরে
.
প্রতিবাদ করার জন্য শক্তির দরকার হয়না, নিজেদের উপর বিশ্বাস আর সাহসের দরকার হয়। নেপালিজরা প্রমাণ করেছে সে বিশ্বাস আর সাহস তাদের আছে। সরি টু সে বাংলাদেশীরা সেটা প্রমাণ করতে পারেনি

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন