আপনি জন্মসূত্রে একজন মুসলিম৷ কিন্তু এতদিন পর্যন্ত আপনার সেই অনুভূতিই ছিলো না যে, ইসলামের মধ্যে পরিপূর্ণরূপে প্রবেশ করাই হচ্ছে একজন মুসলিমের প্রথম এবং প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য৷ আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহে যখনই আপনি দ্বীনের পথে এলেন, হেদায়াতের চিরন্তন জান্নাতী পথে পা মাড়ালেন, তখনই বাধা হয়ে দাড়াল আপনার পরিবার, আপনার বন্ধু-বান্ধব, আপনার সমাজ৷
আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা ও তাঁর রাসূলের (সা,) হুকুম পালন করবেন? না পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও সমাজের কথায় দ্বীনের পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যাবেন৷ এই সিদ্ধান্ত খুব কঠিন সিদ্ধান্ত৷ আপনার মাঝে দ্বীনের বুঝ এসেছে, কিন্তু বাধা-প্রতিবন্ধকতার কারণে আপনি থমকে যাবেন, এটা হতে পারে না৷ হাদীসে এসেছে-
لا طاعة لمخلوق في معصية الخالق. رواه أحمد
"খালিকের (স্রষ্টার) অবাধ্য হয়ে কোনো মাখলুকের (সৃষ্টির) অনুসরণ করা যাবে না৷"
সাহাবায়ে কেরাম যখন ইসলাম গ্রহণ করলেন, পরিবার ও সমাজ থেকে তাদের সামনে দুনিয়ার কঠিন কঠিন নির্যাতন-নিপীড়ন আসতে থাকল৷ তারা নির্লিপ্তভাবে হাসিমুখে তা সহ্য করতে থাকলেন, বরণ করে নিলেন৷ সবকিছুর মায়া ত্যাগ করলেন৷ এমনকী নিজের প্রাণের মায়া পর্যন্ত৷ তবুও দ্বীনের মায়া ত্যাগ করলেন না৷
لا طاعة لمخلوق في معصية الخالق. رواه أحمد
"খালিকের (স্রষ্টার) অবাধ্য হয়ে কোনো মাখলুকের (সৃষ্টির) অনুসরণ করা যাবে না৷"
সাহাবায়ে কেরাম যখন ইসলাম গ্রহণ করলেন, পরিবার ও সমাজ থেকে তাদের সামনে দুনিয়ার কঠিন কঠিন নির্যাতন-নিপীড়ন আসতে থাকল৷ তারা নির্লিপ্তভাবে হাসিমুখে তা সহ্য করতে থাকলেন, বরণ করে নিলেন৷ সবকিছুর মায়া ত্যাগ করলেন৷ এমনকী নিজের প্রাণের মায়া পর্যন্ত৷ তবুও দ্বীনের মায়া ত্যাগ করলেন না৷
আমরা বান্ধবী, গার্লফ্রেন্ড ও প্রেমিকার মায়া ত্যাগ করতে পারি না৷ সাহাবায়ে কেরাম যুগের পর যুগ ধরে নিদারুণ ভালোবাসার দাম্পত্য জীবনের ইতি ঘটিয়ে ফেললেন মুহূর্তের মধ্যেই৷ কলিজার টুকরা সন্তান ও পিতার বিরুদ্ধে তলোয়ার উত্তোলন করতে কুণ্ঠিত হলেন না এই দ্বীনের কারণে৷
অথচ আমরা পরিবার ও সমাজের বাধায়, তাদের পক্ষ থেকে জঙ্গি ও মৌলবাদী আখ্যা পাওয়ার ভয়ে পরম কাঙ্ক্ষিত নিয়ামত দ্বীনের পথে চলতে ভয় পেয়ে যাই৷
من له المولى فله الكل
"যার জন্যে মাওলা আছেন, তার তো সবই আছে"
তাহলে চিন্তা কিসের? আপনি দ্বীন পালন করেন, এটা আপনার উপর আল্লাহ তাআলার বিরাট বড় অনুগ্রহ৷ আপনার মুখে দাড়ি আছে, মানে নবীজীর সুন্নাত আপনি বহন করছেন৷ এরচে সৌভাগ্য আর কী হতে পারে? নবীজীর সুন্নাত বহন করার সৌভাগ্য কী সবার হয়? আপনি সবগুলো সুন্নাত পালন করেন, মানে আপনি রাসূলের রঙে রঙীন হয়েছেন৷ কাল কিয়ামতের দিন আপনি রাসূলের উম্মতের মর্যাদা পাবেন৷ এটাই একজন মুমিনের জীবনের চূড়ান্ত চাওয়া৷ এতএব কে কী বলল, দেখার সময় নেই৷ কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই৷ দ্বীনের জন্যেই তো আমাদের জীবন, দ্বীনের জন্যেই হোক আমাদের মরন৷ কিয়ামতের দিন বোঝাপড়া হবে৷ দেখা যাবে কত ধানে কত চাল৷ হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি'মাল ওয়াকীল৷
من له المولى فله الكل
"যার জন্যে মাওলা আছেন, তার তো সবই আছে"
তাহলে চিন্তা কিসের? আপনি দ্বীন পালন করেন, এটা আপনার উপর আল্লাহ তাআলার বিরাট বড় অনুগ্রহ৷ আপনার মুখে দাড়ি আছে, মানে নবীজীর সুন্নাত আপনি বহন করছেন৷ এরচে সৌভাগ্য আর কী হতে পারে? নবীজীর সুন্নাত বহন করার সৌভাগ্য কী সবার হয়? আপনি সবগুলো সুন্নাত পালন করেন, মানে আপনি রাসূলের রঙে রঙীন হয়েছেন৷ কাল কিয়ামতের দিন আপনি রাসূলের উম্মতের মর্যাদা পাবেন৷ এটাই একজন মুমিনের জীবনের চূড়ান্ত চাওয়া৷ এতএব কে কী বলল, দেখার সময় নেই৷ কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই৷ দ্বীনের জন্যেই তো আমাদের জীবন, দ্বীনের জন্যেই হোক আমাদের মরন৷ কিয়ামতের দিন বোঝাপড়া হবে৷ দেখা যাবে কত ধানে কত চাল৷ হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি'মাল ওয়াকীল৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন